নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে ‘আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে’ যেসব প্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সেগুলো ‘গুজব ও বানোয়াট’ জানিয়ে সতর্ক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ধরনের ‘মিথ্যা তথ্য বা গুজবে’ বিভ্রান্ত না হতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বার্তায় জানিয়েছে, ২০২৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) নেওয়া হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণি যুক্ত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের তালিকায়।
নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, এসএসসির আগে পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগভিত্তিক বিভাজন তুলে দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চাপ কমাতে বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়নের আগে শিক্ষাবর্ষ জুড়ে চলে শিখনকালীন মূল্যায়ন। বেশ কিছু বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হয় শতভাগ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষা ও মুখস্ত নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শেখার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ প্রক্রিয়া হয়েছে আনন্দময়।
তবে পরীক্ষা কমানো, বিভাগ বিভাজন তুলে দেওয়া, মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেক শিক্ষাবিদ সমালোচনাও করছেন।
এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরুর পর্বে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। আওয়ামী লীগের নতুন সরকারে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি শিক্ষাক্রমে ‘প্রয়োজনে কিছু সংশোধন আসতে পারে’ বলে জানিয়েছিলেন।
এরপর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবে পিইসি, জেএসসি পরীক্ষা আবার চালু হওয়াসহ বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।