মোঃ সোহেল রানা, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে গেট বন্ধ করে মোঃ হাসেম আলী (৩০) নামে এক যুবককে অমানুষিক নির্যাতন করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানসহ তার দুই ছেলে রিপন ও মুমিনের বিরোদ্ধে। পরে আহত যুবকের বড় ভাই জাহিদ ৯৯৯ ফোন দিয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ এনে আহত অবস্থায় হাসেম আলী কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসেম ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ০৫ মার্চ আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের খাতড়া গ্রামে। আহত যুবক হাসেম আলী কুল্লা ইউনিয়নের খাতড়া গ্রামের মৃত গোলাম আলীর ছেলে। তিনি রাজমিত্রির কন্টেকদারী করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হাসেমের সাথে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের জমি নিয়ে দির্ঘদিনের শত্রুতা চলছে। হাসেম নতুন বাড়ি করতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন জোর পূর্বক বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন। তাকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে চেয়ারম্যান। সেখানে নিজের বাবার নামে মার্কেট তৈরি করবে বলে জানান চেয়ারম্যান। হাসেম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে হাসেম ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।
এরই জেরে জমি গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হাসেমকে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানসহ তার লোকজন। হাসেমকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে হাত-পা মুখ বেধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলে রিপন এবং মুমিন তাদের লোকজন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হাসেমের বাম পা ও বাম হাত ভেঙে গুড়ো করে দেয়। এছাড়াও তার কোমড়, মুখ, ডান পা পিটিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে।
৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) অসীম বিশ্বাস। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হাসেমকে মারধর করছে। তখন বললাম আপনারা তো মারতে পারেন না। ভুক্তভোগী যদি অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে মামলা দেন। কিন্তু পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের কথা বলা হয়েছে।