দীঘিনালায় ক্রীক বাঁধের পুকুরের মাছের ওজন পরীক্ষা

মো: সোহেল রানা,দীঘিনালা(খাগাড়ছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা দুই পাহাড়ের মাঝে ক্রীক বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলাশয় সৃষ্টি করে মাছ চাষ করার পদ্ধতি। উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এর মাছ চাষী পান্টু চাকমা ও মাছ চাষী মো: আবদুর রহমানে ক্রীক বাঁধের জলাশয়ের মাছের নমুনা ওজন পরীক্ষা করছেনে খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য উপ-পরিচালক ড. আরিফ হোসেন। এমসয় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ মৎস্য আহবায়ক ও সদস্য মিজ শতরূপা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প সহকারী পরিচালক শরৎ কুমার ত্রিপুরা, দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্না চাকমা, সাংবাদিক মো: সোহেল রানা, সাংবাদিক মো: সোহানুর রহমান ও দীঘিনালা উপজেলা শেষ্ঠ মাছ চাষী মো: শাহজাহান প্রমূখ।

মেরুং দূর্গম গবছড়ি এলাকার ক্রীক বাঁধের সুফলভোগী পান্টু চাকমা বলেন, আমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য অধিদপ্তর থেকে দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য অফিসের অধীনে দুই পাহাড়ের মাছে একটি ক্রীক বাঁধ দিয়ে ২০২০-২০২১সালে জলাশয় তৈরি করে দেয়। আমি এখন মাছ চাষ করে স্বালমম্বী। আগে ধান চাষ করতাম বন্যায় ধান নষ্ট হয়ে।

জুঝুরিপাড়া এলাকার মাছ চাষী মো: আবদুর রহমান বলেন, পাহাড়ের দুই মাঝে কিছু ধান চাষ করতাম। বেশি ধান হত না বর্ষাকালে বেশির ভাগ সময় ধান পাহাড়ি ঢলে নষ্ট হয়ে যেত। সরকার আমার জমিনে দুই পাহাড়ের মাঝে একটি বাঁধ মাছ চাষ করা জলাশয় তৈরি করে দিয়েছে। এখন আমি মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী এবং আমার পুকুরের দুই-তিন জন নিয়মিত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ফাগ্লুন- চৈত্র মাস আসলে এলাকার পানি জলধারা শুকিয়ে যায় তখন এলাকার লোক জন এই ক্রীক বাঁধর পানি ব্যবহার করে।

পরিদর্শনকালে খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য ড. মো: আরিফ হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রত্যেক উপজেলা প্রচুর ক্রীক বাঁধের মাধ্যমে মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি করে দেয়া হায়েছে। এতে করে মাছ চাষিরা অনেক উপকৃত হয়েছে এবং ক্রীক বাঁধ দেয়া পুকুরগুলোতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক খাদ্য সৃষ্টি হয় যার কারনে খাদ্য কম লাগে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া শুকনো মৌসুম আসলে পাহাড়ের পানি হাহাকার দেখা দেয় এসকল ক্রীক বাঁধে জমানো পানি এলকার লোকজন ব্যবহার করে এবং ফসল চাষাবাদে ব্যবহারও করে থাকে।

আরও পড়ুন...