কাঠালিয়ায় বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি

পিবিএ,কাঠালিয়া প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ১ নং চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের, বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ জোমাদ্দার এবং সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজির গ্রুপের মধ্য, ১৮ মার্চ দুপুর ১ টায় কৈখালী বাজারের ছালাম ডিলারের দোকানের সামনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, কৈখালী বাজারের ছালাম ডিলারের মুদি দোকানের সামনে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হারুন জমাদ্দার গ্রুপের ১. রিজভী খান (বোবা) (৩২), পিতা নাজির খান, ২. উজ্জ্বল খান (৩৫), পিতা দুলাল খান, উভয় গ্রাম উত্তর চেচরী ৩. অটো রিক্সা ড্রাইভার ঘুঘু মনির, গ্রাম দক্ষিণ চেচরী ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী গ্রুপের ১. সাইফুল ইসলাম সুজন (৩২), পিতা দেলোয়ার হোসেন, ২. নেপাল সুজন (৩৫) উভয় গ্রাম উত্তর চেচরী ৩. হৃদয় (২৫) পিতা বাচ্চু, গ্রাম দক্ষিণ চেচরী এদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যেকোনো সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। কাঠালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সুজন, হৃদয়, নেপাল সুজন সাবেক চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী গ্রুপের হলেও বর্তমানে তার ছোট ভাই জিয়া ফরাজির নেতৃত্বে রয়েছে।

এ বিষয়ে হৃদয় বলেন, আজ দুপুর ১.০০ ঘটিকার সময় বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে দোকান বন্ধ করার সাথে সাথে রেজবি খান, উজ্জল খান এবং মনির এসে আমার উপর আক্রমন করেন। ঘটনা শুনে জিয়া ফরাজী এবং সাইফুল ইসলাম সুজন ঘটনা স্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে সুজনের বাড়ির সামনে নিয়া আসেন। তখন চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন জোমাদ্দার লাঠিসোটা সহ প্রায় ১০০ লোক নিয়া সুজনের বাড়ির সামনে আসেন, তখন জিয়া ফরাজী বুঝিতে তাদের পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে জিয়া ফরাজি বলেন, ঘটনা শুনে আমি পরিস্থিতি শান্ত করেছি তবে চেয়ারম্যান হারুন সুজনকে ধাওয়া করে সুজনের বাড়ি পর্যুন্ত নিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হারুন বলেন, সুজন খুব উচ্ছৃঙ্খল ছেলে ওর কাজই ঝামেলা করা। ঝামেলার কথা শুনে আমি ঘটনা স্থলে যেয়ে আমি পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

আরও পড়ুন...