ঈদে ১১ দিন বন্ধ থাকবে ‘বাল্কহেড-স্পিড বোট’ চলাচল

নৌপুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের আগে ও পরে মোট ১১ দিন সব ধরনের বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
বুধবার দুপুরে পুলিশ প্লাজায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌ পথের আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সভায় নৌপুলিশ প্রধান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর। পবিত্র ঈদে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশ সব নৌঘাট, নৌ টার্মিনালগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে। নৌপথে নিরাপত্তা বিধানে সব নৌযানগুলোর চলাচলের বিষয়ে নৌ পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সময়ের চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কোনো নৌযান যেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেশি যাত্রীবোঝাই করে বেশি স্পিড দিয়ে নৌযান না চালায়।

নৌ পথে নিরাপদ যাত্রায় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো:

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, সূর্যাস্তের পর বালুবাহী বাল্কহেড ও স্পীড বোট চলাচল বন্ধ রাখা, ঈদ পূর্ববর্তী ৫ দিন, ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী ৫ দিনসহ মোট ১১ দিন বালুবাহী বাল্ক হেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যেকোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা, নৌযান চলাচলের পথে মাছ শিকারের জন্য জাল প্রতিরোধ করা, কাগজপত্র বিহীন কোনো নৌযান না চালানো, ন্যায্যমূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান থেকে যাত্রী উঠানো বা নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ, সব নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা।

সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বাঅনৌচ (যাপ), লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন...