সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার সাভারে ছুরিকাঘাতে আমজাদ হোসেন (২৮) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রাজিব শিকদারকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।

এর আগে, ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে মাদারীপুর সদর থানা এলাকায় র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২১ মার্চ দিবাগত রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব জানায়, ‘সম্প্রতি ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় বেশ কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের আড়ালে সাভারের কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা যায়।’

‘গত ২১ মার্চ ঢাকা জেলার সাভারের সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার আসামিসহ পিনিক রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা আমজাদ হোসেন (৩৪) নামক এক ব্যক্তিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়।’

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমজাদকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে র‍্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‍্যাব-৪ এবং র‍্যাব-৮ এর একটি দল মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত আমজাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা ও আসামি রাজীব শিকদারকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতার রাজীব শিকদার ঢাকা জেলার সাভার এলাকার পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য। গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের গ্রুপে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে।

তিনি জানান,‘এই গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়াও প্রায়ই মাদক সেবন ও মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন...

preload imagepreload image