মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।
তুর্কি সীমান্তের কাছে অবস্থিত দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে ব্যস্ত বাজারে বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। রোববার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কি সীমান্তের কাছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার শহর আজাজের একটি ব্যস্ত বাজারে শনিবার গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন নিহত এবং ত্রিশজন আহত হয়েছেন বলে বাসিন্দারা এবং উদ্ধারকারীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
তারা জানান, পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের পর গভীর রাতে কেনাকাটা করার সময় বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় পরিবারের সাথে কেনাকাটা করতে বিস্ফোরণের স্থানের কাছে ছিলেন ইয়াসিন শালাবি নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।’
অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এই বিস্ফোরণের দায় কেউ স্বীকার করেনি।
রয়টার্স বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধী এবং তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত আরব-জনবহুল এই শহরটিতে দুই বছর আগে সর্বশেষ এই ধরনের গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর থেকে শহরটি তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকার প্রধান শহরগুলোতে বেসামরিক জনবহুল এলাকায় ঘন ঘন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সর্বশেষ বিস্ফোরণে অন্তত ত্রিশ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। পরে উদ্ধার করে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, প্রধানত আরব জনসংখ্যায় পূর্ণ বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমের বাসিন্দা এবং বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরে কুর্দি নেতৃত্বাধীন ওয়াইপিজিকে এই ধরনের হামলার জন্য সন্দেহ করে আসছে।
মূলত তারা উত্তর-পূর্ব সিরিয়া এবং উত্তর সিরিয়ার ইউফ্রেটিসের পূর্বে বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যদিও ওয়াইপিজি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের দাবি অস্বীকার করে আসছে।
অবশ্য অন্যরা এই ধরনের হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত দলগুলোকে দায়ী করে থাকে।