ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে এখনো অটল অবস্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগে বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাদের এ অবস্থানের কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় তিন শিক্ষার্থী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
হাইকোর্টে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি স্থগিতের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি রাখবো যে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত যথাযথভাবে বিচার বিভাগের কাছে তুলে ধরা হোক। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। যে ছাত্ররাজনীতি র্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারকে প্রশ্রয় দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের। তা কখনোই আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি, আর ভালো কিছু বয়ে আনবেও না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্ররাজনীতির চরম মূল্য হিসেবে আমরা আমাদের কেমিক্যাল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের সাবেকুন্নাহার সনি, যন্ত্রকৌশল ৯ ব্যাচের আরিফ রায়হান দ্বীপ, তড়িৎ কৌশল ১৭ ব্যাচের আবরার ফাহাদকে হারিয়েছি। ছাত্র রাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাস ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ এবং শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশ ও বিদেশ থেকে অ্যালামনাইরাও বুয়েট ক্যাম্পাস ছাত্র রাজনীতিমুক্ত রাখার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে দৃঢ়তা পোষণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ নিজ জায়গা থেকে তারা তাদের অবস্থান আমাদের পক্ষে ব্যক্ত করছেন। আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীরা আমাদের শিক্ষকদের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং ভরসা রাখি। আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের উপাচার্যকে এই আর্জি জানাচ্ছি তিনি যেন আমাদের শিক্ষকদের নিয়ে আপামর বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাঙ্ক্ষা তা যেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করেন।