পিবিএ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের মসজিদ আল নূর এবং লিনউড মসজিদে হামলাকারী ঘাতক ব্রেনটন ট্যারেন্ট হামলার কিছুক্ষণ আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এবং অন্য রাজনীতিকদেরকে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্ক করে একটি ইমেইল পাঠিয়েছিল বলে জানা যায়। এই সতর্ক বার্তার সাথে ৮৭ পৃষ্ঠার একটি মেনিফেস্টোও পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও মেইল পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়। ঘাতক ট্যারেন্টের হামলায় ৫০ জন মুসল্লি নিহত এবং আরো ৪৮ আহত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডার প্রধান প্রেস সচিব অ্যান্ড্রো ক্যাম্পবেলের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এমন তথ্য জানিয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে দেয়া সম্ভব না হওয়ায় দেশটির ইতিহাসের এই জঘন্যতম বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক হামলা ঠেকানো যায়নি।যথাসময়ে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিতে পারলে ব্যাপক প্রাণহানি ঠেকানো যেতো বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, জাতিগত বিভেদের বার্তাসহ ইমেইলটি দফতরের একজনের কর্মকর্তার ইমেইল ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়নি।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ সিটির দুটি মসজিদে উপাসনারত মানুষগুলোর উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮৭ পৃষ্ঠার মেনিফেস্টো প্রায় একই সময় পোস্ট করা হয়েছিল, যেখানে অভিবাসী এবং মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকালে হামলার সন্দেহভাজন মূলহোতা অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারেন্টের (২৮) বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন লঙ্ঘনসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করছেন আইন প্রণেতারা।
পিবিএ/এএইচ