বগুড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫০জন; সোমবার ভোট গ্রহণ

bogura-nibachon-PBA

পিবিএ,বগুড়া: ১৮ মার্চ বগুড়ার ১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণের সকল সরঞ্জাম ও প্রস্তুতি শেষ করে ভোট গ্রহণের কর্মকর্তরা কেন্দ্রে পৌঁছে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। রবিবার( ১৭ মার্চ) ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। আনসার, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহাড়া জোরদার করেছে। কেন্দ্র জোরদার করা হলেও ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ দেখা যায় নি।

বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম শাহ জানান, ইতিমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। জেলায় ভোটার রয়েছে ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৬ জন। ১২ উপজেলায় শান্তিপূর্নভাবে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ১২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ১৮ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। একটানা ভোট গ্রহণ শেষে গননা করে ফলাফল প্রদান করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে শেরপুর এবং আদমদিঘি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। একই সাথে শেরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। শেরপুর উপজেলায় শুধুমাত্র মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ তিনটি পদে ভোট গ্রহণ হবে না।

জেলার ১২টি পৌরসভা ও ১০৮ টি ইউনিয়নের ৯৫৪ টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৬ জন। দুইজন রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে ৬টি করে উপজেলা রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা হলেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম শাহ। প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে ১০ উপজেলায় ৪০ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ উপজেলায় ৪৩ জন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বগুড়া সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সুফিয়ান সফিক (নৌকা) ও বিএনপি সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএস মাফতুন আহমেদ খান রুবেল (মোটরসাইকেল), সারিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মাদ মুনজিল আলী সরকার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহজাহান আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা টিপু সুলতান, নূর এ আযম বাবু, আব্দুস সালাম, এনামুল হক, বর্তমান চেয়ারম্যান মাছুদুর রহমান (হিরু মন্ডল), দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজানুর রহমান খান ছাড়াও রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ফজলুল হক প্রামাণিক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার, ধুনটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই খোকন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাসুদুল হক বাচ্চু, স্বতন্ত্র সাংবাদিক জিয়া শাহীন (এএসএম জিয়াউল আলম), সাবেক বিএনপি নেতা আলীমুদ্দিন হারুন মন্ডল ও আকতার আলম সেলিম, নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, শরীকদল জাসদের কামরুজ্জামান, বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুর রাফি পান্না, আলেকজান্ডার, আজিজুর রহমান, মাহফুজার রহমান, সোনাতলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিনহাদুজ্জামান লীটন ও সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হক (লিপন), শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজিজুল হক, শিবগঞ্জ উপজেলায় স্বতন্ত্র ফিরোজ আহমেদ রিজু ও বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম, কাহালুতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান, যুবলীগ নেতা মোশফিকুর রহমান ও আল হাসিবুল হাসান, গাবতলীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিন, সাবেক বিএনপি নেতা একিউএম ডিসেন্ট আহম্মেদ সুমন, আনোয়ার এহসানুল বাশার, শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহরাব হোসেন, সাবেক বিএনপি নেতা আবুল বাশার, জাতীয় পার্টির ইউনুছ আলী সাকিদার ও স্বতন্ত্র আছির উদ্দিন মোল্লা।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মজিবুর রহমান মজনু, ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহ জামাল সিরাজী এবং আদমদিঘিতে চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু নির্বাচিত হয়েছেন।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...