পিবিএ, ঢাকা: ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো রবীন্দ্র সংগীত সন্ধ্যা। জাতীয় জাদুঘরে সবার জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের তরুণ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সেমন্তি মঞ্জুরি।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। এসময় শিল্পীরা দর্শক-শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন আঙ্গিকের একাধিক রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন; যা দর্শক হৃদয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়।
আয়োজনে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবীন্দ্রপ্রেমী ইস্পিতা জাহান জানান, রবীন্দ্রনাথের গান সব সময়ই আমার ভালোবাসার একটি বড় জায়গা দখল করে আছে। আর এ অনুষ্ঠানে তার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন অনুভবের গানগুলো মুগ্ধ করেছে।
সন্ধ্যার এ সংগীতায়োজনে শিল্পী সেমন্তি মঞ্জুরি পরিবেশন করেন- ‘বিরহ মধুর হলো আজি’, কান্না হাসির দোল দোলানো, কে গো অন্তরতম সে, নয় নয় এ মধুর খেলা, আমি কান পেতে রই, তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা, ও যে মানে না মানা, হেমন্তে কোন বসন্তেরই বাণী, খেলার সাথী, বড় বেলার মতো, বাহির পথে বিবাগী হিয়াসহ ১৫টি সংগীত।
এসময় তবলায় ছিলেন এনামুল হক ওমর, কিবোর্ডে বিনোদ রায় এবং গিটারে নাসির উদ্দীন।
সংগীত শিল্পী সেমন্তি মঞ্জুরি চার বছর বয়সে তার বাবার হাতে ধরে সংগীত জীবনে পা রাখেন। তার বাবা সোহরাব উদ্দিন একজন বিখ্যাত সংগঠক ও গায়ক। শেমন্তি মঞ্জুরি দশ বছর বয়সে ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়নে প্রশিক্ষণ শুরু করেন এবং ২০১২ সাল থেকে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষক হিসেবে ছায়ানটেই কাজ করছেন।
শিল্পীর প্রথম একক অ্যালবাম ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ২০১৪ সালে প্রকাশ পায়। তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘দেখো রে চিত্তোকোমল’ একই ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে এবছর। তিনি যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংস্কৃতিক ও সমালোচনামূলক বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) শিক্ষকতা করছেন।
সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।
এসময় নীপা চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে প্রায় সকল গানের মধ্যেই শুধুমাত্র মিউজিকের ভিড়ে আসল গানের মাধুর্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু সেমন্তী এ থেকে একটু আলাদা। তার সুর মাধুর্য সত্যিই আমাদের সকলের হৃদয়ে অনুরণন জাগিয়েছে। সুরের সঙ্গে তার গানের আত্মিক সম্পর্কে আমার মনে হয় আমরা সকলেই বিভোর হয়ে ছিলাম পুরো আয়োজন জুড়ে।
পিবিএ/এমটি/এইচএইচ