ভারতে নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা করছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি। তারা চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বর্তমানে এই দুটি দলই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অংশ। কিন্তু তারা এর আগে কংগ্রেসের মিত্র ছিল। এ নিয়ে বুধবার মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ইন্ডিয়া জোটের মিটিং আহ্বান করা হয়েছে এদিন। ইন্ডিয়া জোটের এই বিবৃতি যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। কারণ, এনডিএ এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে মাত্র ৬০ আসনের ব্যবধান। ২৯২ এবং ২৩২ যথাক্রমে।
২৪০ আসনে এগিয়ে থাকা বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে তারা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ৬২ আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি জিতেছে ১৬ ও নীতিশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ১২ আসনে।
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান, এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তাদের কিছু অংশীদার কংগ্রেসের সাবেক মিত্র। এ অবস্থায় বিরোধীরা কি বসে সিদ্ধান্ত নেবে অথবা সরকার গঠন করার উদ্যোগ নেবে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, আমাদের ইন্ডিয়া জোটের অংশীদারদের সঙ্গে মিটিং করতে যাচ্ছি। বুধবার এই মিটিং হবে। এসব প্রশ্ন সেখানে তোলা হবে। উত্তরও সেখান থেকে আসবে। আমাদের অংশীদারদের সম্মান করি। তাদের মতামত না নিয়ে আমরা এ বিষয়ে বিবৃতি দিতে চাই না। জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই রকম প্রশ্ন করা হয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি উত্তরে বলেন, আমাদের জোটের অংশীদার ও নতুন অংশীদারদের সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত এ নিয়ে কথা বলবো না। নতুন অংশীদার আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারি। যদি আমাদের সব কৌশল এখনই প্রকাশ করি, তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদি হুঁশিয়ার হয়ে যাবেন। ওদিকে, এরই মধ্যে খবর পাওয়া গেছে ইন্ডিয়া শিবির থেকে লোকজন, বিশেষত শারদ পাওয়ার মঙ্গলবার বিকেলে যোগাযোগ করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারের সঙ্গে। কিন্তু এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার নিজে এ কথা অস্বীকার করেছেন। এবার ভারতে নির্বাচনের ঠিক আগে টিডিপির সঙ্গে জোট হয় বিজেপির। মঙ্গলবার ভোট গণনার পূর্বেও বিশেষজ্ঞরা চন্দ্রবাবু নাইডুকে নিয়ে জল্পনার কথা জানান। তারা বলেন, যদি ইন্ডিয়া ব্লকে বেশি সুবিধা দেখেন, তাহলে চন্দ্রবাবু নাইডু পক্ষ পরিবর্তন করতে পারেন। ২০১৯ সালে ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ এলায়েন্সের অংশ ছিল টিডিপি। নীতিশ কুমারের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগাযোগ ছিল সাম্প্রতিক সময়েও। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিয়া ব্লক সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করেন। তারপর জানুয়ারিতে যোগ দেন এনডিএতে।