বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যাত্রীবাহী ফেরি চালু করতে চায়

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ফেরি চলাচল শুরু করতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের মধ্যে ইতোমধ্যে এ সম্পর্কিত আলোচনাও শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেছেন, গত ৯ জুন নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফাঁকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা রুটে ফেরি চলাচলসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে তার।

এক্সপার্তায় বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অবসরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ইস্যু এসেছে। শ্রীলঙ্কার কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ খাতে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আমি শিগগিরই শ্রীলঙ্কার কৃষিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠাব।’

‘এছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি চলাচলের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে আমাদের। তিনি আমাকে বিমসটেক (বঙ্গোপসাগর অঞ্চলভিত্তিক আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) সম্মেলনেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, কিন্তু (শ্রীলঙ্কার) নির্বাচনের কারণে সম্ভবত সেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকা সম্ভব হবে না আমার পক্ষে।’

প্রসঙ্গত, এই প্রথম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি চলাচলের আলোচনা শুরু হলো। যদি সত্যিই এটি চালু হয়, তা হলে সেটি দুই দেশের ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের জন্য বেশ ইতিবাচক হবে বলে আশা করা হচ্চে।

ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দ্য ইন্দো-সিলন এক্সপ্রেস ফেরি চালু ছিল। পরে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের কারণে ১৯৮৩ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।

প্রায় চার দশক বন্ধ থাকার পর গত বছর অক্টোবের ভারতের তামিলনাড়ু অঙ্গরাজ্যের নাগাপট্টিনাম ও শ্রীলঙ্কার কানকেসান্তুরাইয়ের মধ্যে ফের চালু হয় যাত্রীবাহী ফেরি।

আরও পড়ুন...