উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটক বরণে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোকে সাজানো হচ্ছে বাহারি সাজে। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত ১৬টি পেশার ব্যবসায়ী ও কর্মীরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে। তবে এসব পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, লেম্বুরবন, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানসহ দর্শনীয় স্পটগুলো পরিপাটি করা হয়েছে। দীর্ঘ ফাঁকা সৈকত পুরো এলাকা ঝকঝক করা হয়েছে। বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু ঢেউ ও মনোরম দৃশ্য নজর কাড়বে আগত পর্যটকদের।
ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে তারা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশানুরূপ হোটেল মোটেল বুকিং না থাকায় কিছুটা হতাশায় ভুগছেন তারা। তবে ঈদের পরবর্তি সময়ে ব্যাপক পর্যটকদের চাপ থাকবে বলে বিশ্বাস হোটেল-মোটেল কতৃপক্ষের।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন’র অর্থ সম্পাদক হোটেল খান প্যালেস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.রাসেল খান বলেন, সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি সব হোটেল গুলোতেই বুকিং বাড়বে এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যটকে মুখরিত থাকবে কুয়াকাটা।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হোটেল-মোটেলগুলো ধুয়ে মুছে একবারে পরিপাটি করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে সৈকতে তেমন কোন পর্যটক নেই। কিন্তু পর্যটক বরণে পুরো সৈকত এলাকা পরিস্কার পরিছন্ন করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।