ক্রিমিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েনের হুমকি রাশিয়ার

রাশিয়া
দূরপাল্লার তোপোলেভ টিইউ-২২এম৩ বোমারু বিমান

পিবিএ ডেস্ক: রুমানিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের জবাবে ক্রিমিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েন করার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় সোমবার রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভিক্তোর বোন্দারেভ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় অনুষ্ঠিত এক গণভোটের মাধ্যমে ঐ অঞ্চলের জনগণ রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় প্রদান করে এবং ১৮ মার্চ প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা দেন।এর পর থেকে আমেরিকা ও তার ন্যাটো মিত্র দেশগুলো পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক তৎপরতা শক্তিশালী করেছে।এরপর থেকে দুপক্ষের মধ্যে সামরিক প্রতিযোগিতা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতকাল ছিল ক্রিমিয়ার রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ৫ম বর্ষপূর্তি দিবস।এ উপলক্ষে মস্কো সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপন করছে।

রাশিয়ার পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী সামরিক যান

বোন্দারেভ ক্রিমিয়ার ভারদিস্কোই বিমান ঘাঁটিতে দূরপাল্লার তোপোলেভ টিইউ-২২এম৩ বোমারু বিমান মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো।

তিনি আরো বলেন, রুমানিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন রাশিয়ার জন্য একটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ক্রিমিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বোন্দারেভ বলেন, “রাশিয়ার এ পদক্ষেপের ফলে এ অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্যে আমূল পরিবর্তন আসবে। ” রাশিয়ার এই আইনপ্রণেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ক্রিমিয়ায় মোতায়েন হতে যাওয়া কৌশলগত এসব বোমারু বিমান ইউরোপের যেকোনো স্থানে থাকা আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারবে।

এর আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও বিস্তার রোধ বিষয়ক পরিচালক মিখাইল উলিয়ানভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ক্রিমিয়ায় পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েনের অধিকার রাশিয়ার রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যখনই প্রয়োজন হবে রাশিয়া তার এলাকার অন্তর্ভুক্ত যে কোন অংশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...