পিবিএ ডেস্ক: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে আপাতত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যথেষ্ট আস্থাভাজন মনে হলেও চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে রয়েছেন তিনিও।কারণ, তিনি ভাল করেই জানেন, ট্রাম্পের আস্থা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।আর চাকরি চলে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পের একটি টুইটই যথেষ্ট।
আমেরিকার অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার তুলনায় পম্পেওক বেশি ভাগ্যবানই বলা যায়।কারণ, তাদের তুলনায় বেশি সময় ধরেই চাকরিতে বহাল রয়েছেন। তবে স্থানীয় সময় সোমবার ঠাট্টা করে বলেছেন, তিনি জানেন কীভাবে তাকে বিদায় নিতে হবে; টুইটার বার্তায় তিনি জানবেন যে তিনি আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেই।
মাইক পম্পেও’র আগে রেক্স টিলারসনকে টুইটার বার্তা পেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছিল। সোমবার নিজ অঙ্গরাজ্য কানসাসে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামে নিজের কুখ্যাত নির্দয় নিয়োগকর্তা ট্রাম্প সম্পর্কে বিরল ভাবনাহীন মন্তব্য করেন পম্পেও।
তিনি আর কতদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন- দর্শকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পম্পেও হেসে দিয়ে বলেন: “আমি এই পদে ততক্ষণ পর্যন্ত আছি যতক্ষণ না তিনি আমাকে টুইট করে বের করে দিচ্ছেন।” পরক্ষণেই তিনি বলেন, “আমি আপাতত বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না, অন্তত আজ তো নয়ই।”
২০১৭ সালের গোড়ার দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় পম্পেও ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান। পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করে পম্পেও’কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন ট্রাম্প। টিলারসনের অপরাধ ছিল তিনি প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো থেকে আমেরিকাকে বের করে আনার ব্যাপারে ট্রাম্পকে নিষেধ করেছিলেন।
এরপর পম্পেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে ট্রাম্পের কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি; এমনকি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেননি। তবে এবার তিনি ঠাট্টা করে যা বললেন তার পরিনতি কি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।