ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৪১

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে গোটা ইউক্রেনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোমবার ইউক্রেনের একটি শিশু হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৬৬ জন। ইউক্রেনজুড়ে চালানো এই হামলা সবচেয়ে মারাত্মক বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এছাড়া সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র ওহমাটডিট চিলড্রেনস হাসপাতালের একটি অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটির ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধার তৎপরতা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

দেশটির দাবি কিয়েভের যুদ্ধবিমানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ওই ভবনটি ধ্বংস হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে যে তারা একটি রাশিয়ান ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ খুঁজে পেয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘নৃশংস’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘রক্তাক্ত অপরাধী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনে আসন্ন ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনে আক্রমণে ন্যাটোর সামরিক ব্লকের নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা রয়েছে।

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার সহ ইউক্রেনের সহযোগী বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। স্টারমার বলেছেন, নিরীহ শিশুদের আক্রমণ করা ছিল সর্বাধিক নিকৃষ্ট কাজ। এছাড়া স্টারমার কিয়েভের জন্য অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে এই হামলাকে রাশিয়ার বর্বরতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি দ্রুতই ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত সমর্থের ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনের মাটিতে ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন রাশিয়া এবার কিয়েভ, ডিনিগ্রো, ক্রিভি রিহ, স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামতোর্স্কের শতাধিক ভবনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া। কিয়েভের হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায় হাসপাতালে ভর্তি অনেক শিশু ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভিতর আটকা পড়ে আছে যাদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারকর্মী এবং চিকিৎসকরা জীবিতদের উদ্ধার করতে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তবে এখনও কতজন এখনও জীবিত রয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন...