অর্থ আত্মসাৎ মামলা বাতিল চেয়ে আবেদনের শুনানি কাল

শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা বাতিল চেয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি জন্য ছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল এ মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় আদালত আগামীকাল বুধবার বেলা ১১ টায় শুনানির জন্য রেখেছেন। এরআগে সোমবার এ মামলার শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ঠিক করা হয়।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ১৪ জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে এবং সম্পূর্ণ অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। আগামীকাল বুধবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এরআগে গত ১২ জুন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন আদালত। একই সাথে আগামী ১৫ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

গত ২ জুন দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠনের আবেদন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামিদের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে আদালত ১২ জুন আদেশের দিন ধার্য করেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এস এম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্য দিকে গত ২৯ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

আরও পড়ুন...