রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তার প্রত্যয় শি জিনপিংয়ের

বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সুবিধার প্যাকেজ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দৃঢ় সহায়তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রয়োজনে তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান সেনাদলের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, কমসুদে ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ— এ চার ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধার একটি প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা দেন শি জিনপিং।

বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও তার প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ চীন সফর শতভাগ সফল। চীনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অভূতপূর্ব বর্ণনা করেন এবং চীনা সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। শি জিনপিং বলেন, ২০২৫ সালে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তিতে সম্পর্ককে দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত করে এ উদযাপনকে অর্থবহ করতে প্রস্তুত তারা।

চীনের প্রেসিডেন্ট ‘গুড গভার্নেন্স নিডস গুড পার্টি’ বা ‘সুশাসনের জন্য ভালো দল’ মন্তব্য করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বন্ধনের ওপর জোর দেন উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া শি জিনপিং বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ, কারিগরি, কৃষি ও উৎপাদন খাতে সহায়তা এবং ছাত্রবৃত্তি বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৮০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সেখানে চীনা উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং আইটি ভিলেজগুলোতে চীনের বিনিয়োগ ও বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়াজাতপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক, আম এবং অন্যান্য ফলসহ পণ্য আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার আহ্বান। এ বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ইতিবাচক সাড়া দেন।

আরও পড়ুন...