ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া ডাকাতি মামলায় লুণ্ঠিত আলামত উদ্ধারসহ ৪ ডাকাতি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন (৪১), মাসুদ চৌকিদার (৩৫), মো. আসাদ মিয়া (৪৫) এবং মো. বশির উদ্দিন (৪২)।
গ্রেফতারকৃদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারসহ লুণ্ঠিত মালামালের মধ্য হতে দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
তিনি জানান, গত ২৮ মে একেএম কামরুজ্জামান যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, গত ১১ টার দিকে তার ভাবি ও পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পরে৷ ওইদিন রাত দুইটার দিকে ঝড়-বৃষ্টির সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম সড়ক থেকে ছাতা মাথায় তাদের বাড়ীর সামনে দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা আসে৷ এসময় তারা ওই বাড়ির সামনে থাকা দুইটি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। এসময় তাদের দলে যুক্ত হয় আরও ৭/৮ জন।
পরবর্তীতে তারা বাড়ির নিচে খোলা থাকা ক্লপসিবল গেট ২ তলায় উঠে মেইন দরজার লক ভেঙ্গে ফ্ল্যাটের পূর্ব পাশের রুমে প্রবেশ করে। এরপর তারা প্রথমে বাদীর ভাবি আসমা ইসলাম নীলা (৩৭) কে ঘুম থেকে উঠিয়ে খাট থেকে ধমক দিয়ে নামতে বলে এবং আলমারীর কাছে নিয়ে আলমারী খুলে জিনিসপত্র দিতে বলে।
এসময় বাদীর মায়ের রুমে নক করতে বললে, তখন তার ভাবি ভয়ে দরজায় নক করলে তার ভাতিজি উম্মে হানি দরজা খুলে দিলে তাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং বাদীর মায়ের রুমে কি স্বর্ণালংকার আছে তা বের করতে বলে৷ এরপর বাদীর ভাবি আসমা ইসলাম নীলা (৩৭), ভাতিজি উম্মে হানি (১৫), বাদীর ভাতিজা লাবিদ ইবনে আমিন (১২), বাদীর মা সামসুন্নাহার (৭০), ছোট বোন রোজিনা আক্তার (৩৫) ও ভাগনিকে (১৩) পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে তার মায়ের রুমে জিম্মি করে ৪টা আলমারি লক ভেঙ্গে ১৪ আনা ওজনে স্বর্ণের চেইন ৪ টি, ছোট কানের দুল ৫ জোড়া, দুইটা হাতের বালাসহ নগদ ৬৫ হাজার টাকা, দুবাইয়ের চার হাজার ৬০০ দিরহাম ও ৫০ ইউরোসহ সর্বমোট ৭ ভরি ৩ আনা স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লক্ষ উনিশ হাজার পাঁচশত টাকা ডাকাতি করে ডাকাত দলটি রাত ২ টা ৫৫ মিনিটে বেরিয়ে যায়৷