হাবিবুল হাসান,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মনগড়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশ সমিতির সভাপতি মোর্তজা হাসান লিটু সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের দক্ষিণ কাটিয়া এলাকার মীর মিয়ারাজ আলী’র ছেলে ও সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশ সমিতির সভাপতি মোর্তজা হাসান লিটু সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ও সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে লাগাতার অসম্মানজনক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ গুটি কয়েক পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনিবন্ধিত অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশ করে চলেছে। আপনারা জাতীর বিবেক, আপনাদের লেখনির মাধ্যমে দেশ ও জাতী উপকৃত হয়। কিন্তু গুটি কয়েক সাংবাদিক নামধারীদের কারণে আমারমত নকল নবিশ দিশেহারা। নিজেদেরমত করে গল্প কাহিনী তৈরি করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করছে। যার মাধ্যমে আমি কর্মস্থলসহ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন হচ্ছি।
আপনাদের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার আশায় লিটু বলেন, আমি সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের অস্থায়ী একজন কর্মচারি। গত আনুমানিক ১০/১৫ দিন পূর্বে সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করে আহাদুর রহমান জনি, পিতা মো. সাদেকুজ্জামান মানিক, গ্রাম-লাবসা দর্গাপাড়া, ডাকঘর-লাবসা, সাতক্ষীরা ও মো. শাহ আলম, সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক সাতক্ষীরার সংবাদ এই দুই ব্যক্তি আমার সাথে হটাৎ দেখাতে জনি নামের ব্যক্তি প্রত্রিকার একটি কার্ড দেখিয়ে বলে আমি সাংবাদিক, আমার সাথে একজন সম্পাদকও আছে আপনার বিরুদ্ধে অনেক দূর্ণীতির অভিযোগ আছে, অনেক কাগজপত্র, প্রমান আছে, লিখলে চাকরি থাকবে না। বিষয়টি থামা চাপা দিতে চান তাহলে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। আমাদের কাছে যেসব কাগজপত্র আছে আর কারো কাছে নেই আমাদের সাথে মেটালেই হবে।
আমি তাদের স্পষ্ট ভাষায় বলি, আমি সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের একজন অস্থায়ী কর্মী। আমার দ্বারা দূর্ণীতি সংঘটিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমি কোন টাকা দিতে পারবো না। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, তোকে ও তোর যত অফিসার আছে সবাইকে দেখে নেবো। তারই প্রেক্ষিতে গত ২৫ জুলাই চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা আমার ও সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন কর্মরত, কর্মচারী ও দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ার কারনে “সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে এবং একই ভাবে গতকাল ২৮ জুলাই আবারও সংবাদ প্রকাশ করে। যা আমাদের সকলের সম্মান হানির শামিল ও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই না। তারা হুংকার দিচ্ছে চাঁদা না দিলে লেখা চলতে থাকবে। আমি একজন সামান্য কর্মচারি হলেও আমার পরিবার আছে, সমাজ আছে। আমি সম্মানের সাথে চলতে চাই। কিন্তু সাংবাদিক নামধারী এই দুই ব্যক্তি আমার ও আমার অফিসের বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য পত্রিকায় লিখে যেমনি ভাবে আমাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করছে তেমনি ভাবে আমার কর্মস্থলকেও বিষিয়ে তুলেছেন। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আপনাদের মাধ্যমে এই অপসাংবাদিকতার বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শেখ মাহাবুব উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আজাদ হোসেন, নজিবুল্লাহ, ওমর ফারুক, নাসির, নুরুদ্দীন, হাফিজুর রহমান, আহমাদুল কবির বাবুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।