রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুর শহরের হাইস্কুল মোড়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় আহত হয়েছে আন্দোলনকারী ও পথচারীসহ প্রায় ১০ জন।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে শহরের বাইপাস মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাইপাস সড়ক হয়ে মির্জা আজম চত্ত্বরে আসে। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে সেখানেই তারা অবস্থান নেয়। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মির্জা আজম চত্ত্বরে প্রায় দুই ঘন্টা অবস্থানের পর পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। পরে তারা পাঁচরাস্তা হয়ে চলতি পথে আশেক মাহমুদ কলেজ চত্ত্বরে আওয়ামী লীগের ব্যানার ভাংচুর করে। মিছিলটি শহরের বকুলতলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় অভিমুখে যাবার পথে হাইস্কুল মোড়ে আরেকদফা পুলিশি বাধার মুখে পড়লে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। অপরদিক থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পুলিশের গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের পর আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ সময় আন্দোলনকারী ও পথচারীসহ প্রায় ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীদের ঘিরে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারীর মধ্যে কয়েকজন জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি ছোঁড়ে। দলীয় নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রায় ৮/১০ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ জানান, শিক্ষার্থীদের আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা বললেও তারা আমাদের কথা শুনেনি। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করে হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত যায়।