ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খোলার পর আবাসিক হল বা হোস্টেলগুলোতে শিক্ষার্থী ওঠানোর বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা বিভিন্ন কারণে ছাত্রত্ব নেই অথবা মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করেছে অথবা স্নাতক পাশ করেছে কিন্তু নিয়মিত ব্যাচের সাথে মাস্টার্সে ভর্তি হয়নি- এমন শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে না।
এই সকল শিক্ষার্থীর জিনিসপত্র যদি হলে থাকে, তাহলে হলের সকল পাওনা পরিশোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত নির্ধারিত তারিখের মাঝে নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, হল কর্তৃপক্ষ তাদের কক্ষ থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলবে এবং হল তার দায় বহন করবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হলের সিট বণ্টনের নীতিমালায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিয়মিত সকল শিক্ষার্থী হলের সিটের জন্য আবেদন করতে পারলেও যাদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিবহন (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও সাভার) সুবিধা আছে, তারা আবেদন করতে পারবে না।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, এমফিল, পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি, নিয়মিত মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ভর্তি হওয়া, প্রফেশনাল মাস্টার্স, ইভনিং মার্টার্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য হলে সিট বরাদ্দ দেয়া হবে না। তবে স্বতন্ত্র নীতিমালার ভিত্তিতে শুধু এমফিল ও পিএইচডি গবেষণারত নারী গবেষকদের ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রীনিবাসে সিট বরাদ্দ করা হবে।