পিবিএ,মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁর মহাদেবপুরের আলোচিত টর্চারসেলের মুলহোতা সেই রুহুল আমিন। ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শেষ করে গত রোববার (১১ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন চালকল ব্যবসায়ী উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ। ব্যবসায়ীক বিরোধের জের ধরে এ সময় শিবরামপুর গ্রামের মৃত ফরিদ মালের ছেলে আ: লতিফ, পাহাড়পুর গ্রামের মৃত ফারাজের ছেলে জাহাঙ্গীর, বামনসাতা গ্রামের পিন্টু, শিবরামপুর গ্রামের লালবরের ছেলে রুবেল হোসেন, লক্ষণপুর গ্রামের মিজান, নাটশাল গ্রামের শাকিল হোসেন তাকে ডেকে নিয়ে বোয়ালমারি মোড়ে কারিমা অটোরাইস মিলে আলোচিত সেই রুহুল আমিনের টর্চারসেলে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মাদকের আসর বসিয়ে অপেক্ষা করছিল রুহুল আমিনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। সেসময় তারা বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করে ব্যবসায়ী হারুনের কাছে থাকা তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাতভর তাকে লাঠি দ্বারা নির্যাতন করতে থাকে। এ বিষয়ে কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ভোরবেলা তাকে ছেড়ে দেয়। সেখানে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে অজ্ঞাত ভ্যানচালক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে সে সঠিকভাবে চিকিৎসাও নিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার হারুন অর রশিদ উপরোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রুহুল আমিন ও আ: লতিফের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও তারা তা রিসিভ করেননি।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য এর আগে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পাশ্ববর্তী পত্মীতলা উপজেলার নার্সারী ব্যবসায়ী মিঠুনকে ধরে নিয়ে এসে রুহুল আমিন তার টর্চার সেলে তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। পরে মিঠুনের স্ত্রী শ্যামলী স্বামীকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও চুল কেটে নির্যাতন করে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের হলে ঘটনার ১৯ দিন পর রাজশাহী থেকে র্যাব রুহুল আমিনকে আটক করে।