জামালপুরে আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে ৪ মামলা, আসামি পাঁচ শতাধিক

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুরে আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে চারটি মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের এবং ছাত্রদল নেতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা চারটি করেছেন। মামলায় ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছড়া ৩৯০ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাত আসামি।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মেদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু, সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহাম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. খাবিরুল ইসলাম খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহারিয়ার ইসলাম রাফি ও ছাত্রলীগ কর্মী নাফিজুর রহমান তুষারসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

জানা গেছে, চারটি মামলার মধ্যে একটি জামালপুর শহরের হাইস্কুল মোড় ও পুরাতন শিল্পকলা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের র‌্যালিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা। এখানে নাফিজুর রহমান তুষার, শাহরিয়ার ইসলাম রাফি ও ফারহান আহাম্মেদসহ দলীয় নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের হত্যার চেষ্টায় হামলা চালান। এ ঘটনায় নাফিজুর রহমান তুষার, শাহরিয়ার ইসলাম রাফি ও ফারহান আহাম্মেদের নাম উল্লেখ করে এবং ২’শ থেকে ৩’শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

এছাড়া পুরাতন বাইপাস মোড় এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দের নেতৃত্বে ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্দেশে ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ ৬২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রদলনেতা আব্দুল করিম কামরানের ওপর হামলা ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়। এ ঘটনায় পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

অপরদিকে, সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ এলাকায় সংগঠিত ভিন্ন দুই ঘটনায় আরও দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত কবির বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের এবং ছাত্রদল নেতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশ বাদী হয়ে এই চারটি মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন...