আজ তামিমের শুভ জন্মদিন

Tamim

পিবিএ, ঢাকা:তিনিই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। তবে তামিম ইকবালই যে তিন ফরমেটে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান, তাতে এতটুকু সন্দেহ নেই। কারণ টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি; তিন ফরমেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান তার।

 

তাই পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড বা নিয়ামক ধরলে অনিবার্যভাবেই বাংলাদেশের এক নাম্বার ব্যাটসম্যান এখন তামিম ইকবাল। তার সাহস, আস্থা, আত্মবিশ্বাস, আত্মনিবেদন ও পারফরম্যান্সই তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা ও রান করার কারণে তামিম হয়ে উঠেছেন টাইগারদের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার প্রতীক।

টিম বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রধান তিন স্তম্ভর মূল পিলারই তামিম। যে কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে আস্থার জায়গাই তামিমের ব্যাট। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া পরিবারের সেই কনিষ্ঠ সদস্য তামিম ইকবালের আজ ৩০তম জন্মদিন।

১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কাজীর দেওরিতে বিখ্যাত খান পরিবারে জন্ম তামিমের। পিতা ইকবাল খান ছিলেন আপাদমস্তক ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়ানুরাগী ও ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ। ফুটবল ও ক্রিকেট একসঙ্গেই খেলেছেন দাপটে। সত্তর দশকে ঢাকার ফুটবলের সূর্য যখন মধ্যগগণে, তখন ইকবাল খান ছিলেন নামী ফুটবলারদের একজন।

ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম মোহামেডানের অধিনায়ক ইকবাল খান ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলেছেন। চট্টগ্রাম লিগে তার সেঞ্চুরিও আছে।

চাচা আকরাম খান বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার হাত ধরেই ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে উড়েছিল ক্রিকেটে জয়ের কেতন। বড় ভাই নাফিস ইকবালও ছিলেন জাতীয় দলের স্টাইলিশ ওপেনার, টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানও। স্বভাবতই ক্রিকেটটা তামিমের রক্তে, অস্থি-মজ্জায়।

ড্যাশিং এই ওপেনারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৭ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তামিমকে। জাতীয় দলের একাদশে অবিচ্ছেদ্য এক অংশই হয়ে গেছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত তিন ফরমেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। খেলেছেন ৫৮টি টেস্ট, ১৮৯ ওয়ানডে আর ৭৫টি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরমেটেই সেঞ্চুরি আছে তার। মোট সেঞ্চুরি ২১টি।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...