ভারত সরকার বাংলাদেশের বিপদের সময় পানি ছেড়ে দিয়ে জনগণকে ভাসিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় ত্রাণ সংগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, নাচতে নেমে ঘোমটা দিয়ে লাভ নেই। ফেনীতে বন্যার সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাঁধ ছাড়ার ৫-৭ দিন আগে জানানোর প্রয়োজন নেই। আর গতকাল যখন ফারাক্কার ১০৯টি বাঁধ খুলে দিলো তখন তারা বলেছে, আমরা সুইস গেট খুলে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, নদীর যে প্রাকৃতিক অবস্থা ও পানির যে গতিপথ; সেখানে ভারত কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করে তাদের চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যবস্থা করতে গিয়ে তাদের বিপদের সময় পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের ভাসিয়ে দিচ্ছে। আর যখন আমাদের পানি দরকার তখন তা আটকে রেখে শুকিয়ে মারছে।
বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা মানব সৃষ্ট দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, কিছু বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক পানি বাড়ার চেয়ে প্রায় ১০ ফুট উঁচু হওয়ার কথা ছিল না। এই পানি কোথায় থেকে আসছে? এটা জোয়ার-ভাটার পানি নয়। হঠাৎ করে বাঁধ ছেড়ে দেওয়ার কারণে এই পানি। এটা মানব সৃষ্ট।
ভারতের সঙ্গে পানি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, মনে রাখতে হবে যে আমাদের ফারাক্কা ইস্যুটি জাতিসংঘে উঠেছিল, তারপরই জিয়াউর রহমানের সময় চুক্তি হয়েছিল। পানি এমন সম্পদ, যেটি উজান এবং ভাটির মানুষ ব্যবহার করবে। সেটা সবাই যথাযথ ভাগ পাবে। কিন্তু যখন সেটা দেবে না, তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হবে।
এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।