পিবিএ,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরী প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ডিন’স কমিটির সভায় কমিটির মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে মনোনীত করা হয়। ডিন’স কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) থেকে অনলাইন ক্লাস চালু করাসহ চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ হলো- শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সকল বিভাগীয় সভাপতিকে জরুরী একাডেমিক কমিটির সভা আহবান করে আগামী ০৩/০৯/২০২৪ ইং তারিখ হতে অনলাইন ক্লাস শুরু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ,
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল বিভাগের ৪র্থ বর্ষ চূড়ান্ত এবং মাষ্টার্স চূড়ান্ত ফলাফল প্রক্রিয়াধীন তা প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানানো, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত পত্রের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন’স কমিটি সভায় নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরী প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে ডীন’স কমিটির মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীকে (ডিন, থিওলজি এন্ড ই সর্বসম্মতক্রমে মনোনয়ন প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য যে, তাঁর অনুপস্থিতিতে ডীন’স কমিটির মধ্য হতে ক্রমানুসারে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগন উক্ত দায়িত্ব পালন করবেন মর্মেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান (স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত) সকল পর্যায়ের জনবল এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত আনছার সদস্যদের আগষ্ট-২০২৪ এর বেতন, ভাতাদী ও মাসিক পেনশন রাজস্ব খাত হতে প্রদানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নতুন প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে সিনিয়র ডিন হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য না আসা পর্যন্ত চলতি জরুরি দায়িত্বগুলো আমি পালন করবো। আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজের বাইরে আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতিদের চিঠি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট সহ যেসব পেন্ডিং কাজ রয়েছে সেগুলা সমাধান করা হবে। আর মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করবো জারি করা চিঠিতিতে যেন একাডেমিক শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়। যদি না দেয় তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সশরীরে ক্লাস চালুর করার চেষ্টা করবো৷ এই সময়ে আমি সকলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।