আনসার আন্দোলনে ‘ইন্ধনদাতা’ দুই আনসার সদস্য গ্রেফতার

সম্প্রতি আনসারদের আন্দোলনে ইন্ধনদাতা দুই আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আনসার সদস্যরা হলেন- মো. সোহাগ মিয়া ও মো. মিজানুর রহমান তুহিন। তারা আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ আনসার সদস্য মো. সোহাগ মিয়াকে সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার পারমাস্তল গ্রামে।

অপর আনসার সদস্য মো. মিজানুর রহমান তুহিনকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ রামু থানাধীন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দুর্গম টিলাপাড়া এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে। তিনি কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দিনভর সচিবালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। রাত পর্যন্ত সচিবালয় থেকে কাউকে বের হতে দেননি তারা। এমনকি রাতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও সচিবালয়ের সামনে মারধর করেন তারা। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মিলে আনসার সদস্যদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৬০ জন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকার চার থানায় চারটি মামলা হয়। এতে চার শতাধিক আনসারের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর আটক ৩৮৮ আনসার সদস্যকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২৬ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের আদালতে ৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে হাজির করে চার থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে শাহবাগ থানার মামলায় ১৮৯ জন, রমনা থানার মামলায় ৯৮ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ৬ আনসার সদস্যকে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন...