পিবিএ, ঢাকা : সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাবলিক টয়লেটে অনেক বেশি সময় অবস্থান করে। তারা শুধু প্রাকৃতিক কাজ সারতেই টয়লেটে বেশি সময় ব্যয় করে তা নয়।টয়লেটে ঢুকে মোবাইল ফোনে কথা বলা, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া, মেকআপ ঠিক করা বা বন্ধুত্বের জন্যও অনেক সময় ব্যয় করে মেয়েরা। টয়লেটে মেয়েরা ঠিক কী কী কাজ-কর্ম করে, গত প্রায় ১০ বছর যাবত তার ছবি তুলছেন সামান্থা জ্যাগার।
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার ও লিডস শহরের বিভিন্ন পাবলিক টয়লেট, পাব আর ক্লাবের মেয়েদের টয়লেটে এসব ছবি তোলা হয়েছে। সামান্থার তোলা বিপুল সংখ্যক ফটোগ্রাফের একটি অংশ নিয়ে লন্ডনে হবে এক প্রদর্শনী, সামান্থা যার নাম দিয়েছেন ‘লুসেন আপ’। সামান্থা বলছেন, এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে, টয়লেটের চার দেয়ালের মধ্যেও যে বন্ধুত্ব হতে পারে সেই গল্প বলতে চেয়েছেন।
কেন মেয়েরা টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকে?
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাসিন্দা সামান্থা ম্যানচেস্টারেই বাস করছেন বহু বছর। তিনি বলেন, কৈশোরে শখের বশেই আমি ছবি তোলা শুরু করি, কিন্তু মাত্র গত বছরই আমি হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম, আমার তোলা ছবির একটি বড় অংশই হচ্ছে টয়লেটের মধ্যে তোলা। আমার মনে হলো, এই ছবিগুলোর ভেতর দিয়ে মেয়েদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব বোঝা যায় তাদের একেবারে নিজেদের মত করে কাটানো সময়ে তাদের আচরণের মধ্য দিয়ে।
সামান্থা জানান, টয়লেটের ভেতরে মেয়েরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাও আমি বুঝতে পারি এই সময়ে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চাকরি বদলানো, সম্পর্ক ভাঙ্গা কিংবা সামনে এগুনোর তড়িৎ সিদ্ধান্ত। এটা আজব একটা ব্যপার, কিন্তু ক্যামেরার লেন্সের ভেতর দিয়ে আমি গত ১০ বছর ধরে তাই দেখছি।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি টয়লেটে কেঁদে অনেকের বুক ভেসে যাচ্ছে, প্রেমে প্রতারিত হয়ে চলতে থাকা জীবনে হঠাৎ থমকে যাচ্ছেন কেউ কেউ, কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছেন, কেউ কূট তর্ক করছেন। কোথাওবা সিঙ্ক উপচে পড়ছে সাজের সরঞ্জামে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
পিবিএ/এমএস