বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ কৃষককে আনসার ডিজির ধানের চারা বিতরণ

কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় সাম্প্রতিকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

শনিবার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা কমপ্লেক্সে ২০০ জন, পরশুরাম পাইলট হাইস্কুল মাঠে পরশুরাম উপজেলার ১০০ জন এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ রওশন আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংশ্লিষ্ট উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ জন কৃষকের মাঝে আনসার ডিজি এসব ধানের চারা বিতরণ করেন তিনি।

আসন্ন আমন মৌসুমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের কৃষকদের দুর্দশা দূরীকরণে সময়োচিত এ চারা বিতরণ পদক্ষেপ কিছুটা হলেও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের উপপরিচালক (প্রকল্প-প্রশিক্ষণ) ও গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আশিকউজ্জামান জানান, এবারের বন্যায় কৃষকদের বীজতলার জমি প্লাবিত হওয়ায় ধান চাষ নিয়ে বিরাট অনিশ্চয়তায় ছিলেন কৃষকগণ। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এ পরিস্থিতি অনুধাবন করে পূর্ব থেকেই আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যান্টগণকে যে সকল অঞ্চল প্লাবিত হয়নি সে সকল এলাকায় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের মাধ্যমে ধানের বীজতলা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই ফলশ্রুতিতে বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য তিনি আমন ধানের চারা তুলে দিতে পেরেছেন।

ধানের চারা বিতরণ সম্পন্নের পর তিনি কুমিল্লা রেঞ্জ ও জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের পর রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ ও পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর করেন।

আশিকউজ্জামান আরও জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা যখন বীজতলা তৈরির জমির অভাবে বিপর্যস্ত তখন আনসার বাহিনীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বীজতলা হতে চারা উৎপাদন করে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলার কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ করে মোট ১০০ একর জমি আমন চাষের আওতায় নিয়ে আসে। পর্যায়ক্রমে আরও বেশি সংখ্যক কৃষকদের পুনর্বাসনের আওতায় আনার পরিকল্পনাও বাহিনীর রয়েছে। এ ছাড়া ভালো ফলন নিশ্চিত করতে আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে সার, কীটনাশক থেকে শুরু করে সবজি চাষের উপকরণও আগামীতে বিতরণ করা হবে।

আকস্মিক বন্যায় কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সকল গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়াসহ শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণ উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন...