রাজধানীর মুগদায় ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের একজন নিহত ও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আব্দুর রহিম (২৬) ও সীমান্ত হোসেন রাহাতকে (২১)।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মুগদা এলাকা থেকে তাদেরকে র্যাব-৩ এর একটি দল গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম।
গত শুক্রবার রাতে মুগদা থানাধীন উত্তর মান্ডার প্রধান সড়কে বাগবিতণ্ডার জের ধরে তিন ভাই আশিক এলাহী সাকিল (২৮), আশিক পারভেজ সুজন (৩৮) ও মো. শামসের (২৪) ওপর হামলা করলে ওইদিন রাতে মারা যান সাকিল। এই ঘটনায় পর মুগদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা মো. ওমর ফারুক।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মুগদা থানাধীন উত্তর মান্ডার প্রধান সড়কের পাশে মেঘু ব্যাপারী জামে মসজিদের সামনে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহনকৃত একটি গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। ওই গাড়িতে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তির মোটরসাইকেল ধাক্কা লেগে মোটর সাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় মোটর সাইকেল এর মালিক নিহত ভিকটিম আশিক এলাহী সাকিলের পিতার দোকানের কর্মচারী মো. খোকন (৪৫) এর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। পরবর্তীতে মো. খোকনের চিৎকার শুনে ভিকটিম আশিক এলাহী সাকিল ও তার দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন ও মো. শামস এগিয়ে আসলে সেখানে আরও ৪০/৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়ো হয়।
কিন্তু সবার মধ্যেই মুগদা এলাকার সীমান্ত হোসেন রাহাত ও মোহাম্মদ রাহিম হোসেন ও তার সহযোগীরা বিক্ষিপ্তভাবে খোকনকে আঘাত করতে থাকে। এ সময় খোকনকে রক্ষা করতে গেলে আসামি সীমান্ত হোসেন রাহাত ও মোহাম্মদ রাহিম হোসেন ঘটনা স্থলের পাশে থাকা কসাইয়ের দোকান হতে চাপাতি, ছুরি ও রড় নিয়ে ভিকটিম নিহত আশিক এলাহী সাকিলের ঘাড়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করলে ভিকটিমকে রক্ষা করতে গেলে তার দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন ও মো. শামসকে কুপিয়ে জখম করলে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সাকিল, সুজন ও শামসকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাকিলের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে সাকিলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১ টার দিলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনায় গুরুতর আহত আশিক পারভেজ সুজন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা র্যাবের এই কর্মকর্তা।