‘ভারত এ দেশের মানুষকে না, স্বৈরাচার হাসিনাকে ভালোবাসে’

প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসে না, তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের চৌরাস্তায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রভু রাষ্ট্র ভারত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোকে এখনো মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানাভাবে চক্রান্ত করছে। চক্রান্ত ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে দেশবাসীকে।

তিনি বলেন, গণহত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে। জুলাই বিপ্লবের পর ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও পতিত স্বৈরাচারের দোসর ওই আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশে প্রতিবিপ্লবের ব্যর্থ চেষ্টা করছে। মনে রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধতার কোনো বিকল্প নেই। যেভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করেছে, সেভাবে আমাদের সবাইকে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে একযোগে কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই এই ছাত্র-জনতার সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কোনো কারণে যদি এই সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতনের পর তার এমপি-মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও প্রশাসনের সর্বত্র তার রেখে যাওয়া ফ্যাসিস্টরা ভালো ভালো জায়গা দখল করে বসে আছে।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেন, বিএনপি কখনো ক্ষমতার চেয়ারে যাওয়ার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেনি। গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি ও তার নেতা তারেক রহমান এই দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের বাকস্বাধীনতা বা মুক্ত মনে কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। জনসভায় বক্তৃতা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, মোস্তফা আমির ফয়সাল, গিলবার্ট বিশ্বাস প্রমুখ।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহাক, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান, অ্যাড. জাফর সাদিক, আব্দুস সালাম আজাদ, গোলাম রেজা দুলু, যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ ও মঞ্জুরুল হক খোকন প্রমুখ

আরও পড়ুন...