পিবিএ ডেস্ক: বাড়ির কোনো দায়িত্ব হোক, নিজের কাজ কিংবা প্রিয়জনকে দেয়া কথা রাখা সব কিছুর জন্যই মনে রাখাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ভুলে গিয়ে কাজের ক্ষতি কে-ই বা করতে চায়।
একটা সময় ধারণা ছিল, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমে স্মৃতিশক্তি। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপনের চাপে অনেক কম বয়স থেকেই কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি। আধুনিক গবেষণা বলছে, ব্যায়াম ও কিছু কিছু অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু সব সময়ে এই নিয়ম আমরা মেনে চলতে পারি না। তা হলে উপায়? এমন কোনো অভ্যাস কি আছে যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক সচল রাখা যায়।
যে সময়ে অবসরে থাকেন সে সময়েই ক্রশওয়ার্ড বা শব্দছক মেলানোর চেষ্টা করুন। বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে শব্দছক থাকে। এসব সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে কাজ করতে হয় এবং শব্দের ভাণ্ডারও বাড়ে। শিশুদের বুদ্ধিমান করে তুলতে হলেও ভাষার উপর তাদের দখল বাড়াতে গেলে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
গবেষণা বলছে, কল্পনাশক্তি শুধু মনকেই নরম করে না, স্মৃতিকেও শক্ত করে। তাই শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান এবং তাদের কল্পনার জগত, রূপকথার গল্প বা বিভিন্ন গল্পের বই পড়ার ফাঁকে নিজের কল্পনাকেও ঝালাই করে নিন। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে ও মনে রাখা সহজ হবে।
অভিধান পড়ার অভ্যাস করুন। বাংলা হোক বা ইংরেজি, অভিধান পড়ে প্রতিদিন দশটি করে শব্দ লিখে রাখুন খাতায়। দিনের শেষে তার কতগুলো মনে রাখতে পারছেন দেখুন। না পারলে আবার পড়ুন, তারপর লিখে ফেলুন শব্দগুলো।
প্রথম দিকে না পারলেও এই অভ্যাসের ফলে পরে দেখবেন মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে সবগুলোই মনে রাখতে পারছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস ভাষাজ্ঞান বাড়ায়, মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে ও শব্দের ভাণ্ডার বাড়ায়।
গান বা কবিতা ভালোবাসেন? তা হলে পছন্দের একটি তালিকা বানান। এবার সেই গান বা কবিতা কোনটা কোন বই থেকে নেয়া বা কোন সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে তা ভাবুন। না পারলে জেনে নিয়ে লিখে রাখুন এবং না দেখে বলার চেষ্টা করুন। এতেও মস্তিষ্ককে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
পাজল বোর্ড সমাধান করার অভ্যাস তৈরি করুন। শিশুকেও এতে ব্যস্ত রাখুন। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এই উপায় অনেক উপকারি। এখন বেশ কিছু অ্যাপেও এমন পাজল বা ধাঁধা রয়েছে।
পিবিএ/এফএস