পিবিএ,ইবি প্রতিনিধি: ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে রংপুরের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদ করেন।
সমাবেশে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট সহ অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘উত্তরবঙ্গের সাথে বৈষম্য আর না আর না’, ‘উত্তরবঙ্গ বন্যায় ডুবে গেলে বাংলাদেশ অন্ধ হয়ে যাও কেন’, ‘ত্রাণ নয় স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘উত্তরের কান্না চুপ কেন বাংলা’ লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড নিয়ে উপস্থিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, রংপুরের মানুষের সবসমের দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। আমাদের দেশের সবচেয়ে অবহেলিত বিভাগ রংপুর। বিগত সরকার বাংলাদেশকে ভারতের অংশ বানিয়েছিলো। দিল্লির কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো না। ভারতকে নতজানু করে চলতো। রংপুরে বন্যা কৃত্রিম বন্যা। আমরা সকারকে দ্রুততার সাথে আন্তর্জাতিক নদীর বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানাই। রংপুর একটি সম্পদে ভরপুর অঞ্চল, সরকার সেদিকে মনযোগ দিচ্ছে না। যার ফলে এলাকার মানুষ দরিদ্র থেকে যাচ্ছে।সেই এলাকা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। রংপুরে মানুষের প্রতি সকল অন্যায় দূর করতে হবে। আমাদের সবসময় রাজনৈতিক ।
জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বলে আমাদের সবসময় ভুল বুঝানো হচ্ছে। তিস্তার পনি আসার কথা উত্তরবঙ্গের মধ্য দিয়ে কিন্তু সেটা পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদেরকে পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হচ্ছে না। ভারতে এক তিস্তাতে বাধ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ৩৪ টা যার মধ্যে ১৭ টা বাধঁ বাস্তবায়ন করেছে।একটা আন্তর্জাতিক নদীতে জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের কাছে নতজানু নীতির ফলে এটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এই সরকারকে বলতে চাই দ্রুত এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের করতে। যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। তারা কখনো অন্যায় মেনে নেয় না। আন্তর্জাতিক নদী নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের অন্যায় বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। আমরা ভারতের কাছে নদীর পানির ন্যায্যতা চাই। আমরা নদীর পানি ছেড়ে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারতেকে তীব্র নিন্দা জানাই।