অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন প্রবাসীরা। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে তারা ২৪০ কোটির বেশি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বাড়ায় দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বিদায় সেপ্টেম্বরে (১ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর) রেমিটেন্স এসেছে ২৪০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। তবে আগের বছরের একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১লা জুলাই থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত প্রবাসী আয় এসেছিল ৪৯০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। একই সময়ে গত বছরের তুলনায় এবার প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা বাড়ানোর কারনে এখন হুন্ডি বা অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। এতে বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগের বছরের (২০২৩ সাল) সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের (২০২৪ সাল) সেপ্টেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবদ্ধি ৮০ দশমিক ২০ শতাংশ জানিয়ে হুসনে আরা শিখা বলেন, অর্থ পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা গেলে এই প্রবাসী আয় আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং আগস্টে ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।