পিবিএ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: প্রাথমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ নানারকম বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে শিক্ষকতা পেশায় এসে।অন্যান্য দপ্তরের বিভিন্ন দাবি দাবা মেনে নিলেও শিক্ষদের বেলায় কেন এতো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। শিক্ষকরা আক্ষেপ করে বলেন যেই সরকারই ক্ষমতায় আসে আমরা আমাদের দাবিসমূহ পেশ করে আসলেও কোন সরকারই সামান্য সহানুভূতিটুকু প্রদর্শন করেনি। বার বার অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার আমরা হয়ে আসছি। ছাত্র অথবা ছাত্রীদের লেখাপড়ার প্রথম ধাপটিই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। আমাদের হাত ধরেই প্রাথমিকের গন্ডি পেড়িয়ে আমাদের সন্তান তুল্য ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই আজ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বড়ো অফিসার হয়ে চেয়ারে বসেছেন। অথচ আমরা শিক্ষক’রা আমাদের ন্যয্য দাবি আদায়ে কেনো রাস্তায় নামতে হবে, কেনই বা আন্দোলন করতে হবে। আমাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় কথা বললে শিক্ষকদেরকে বিগত দিনে পুলিশ এমনকি সরকার দলীয় রাজনৈতিক পেটোয়া বাহিনী দাঁড়া লাঞ্ছিত করা হয়। অথচ আমরা জানি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু বাস্তবে ঐই শিক্ষকের কতটুকু সম্মান দেওয়া হয় বা মর্যাদা দেওয়া হয়?
এসময় উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি পাঠ করেন পঞ্চগড় জেলা বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক মো: নাসের বাবুল।
তিনি বলেন আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২ তম গ্রেড, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১১তম গ্রেডের,এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। বৈষম্যা নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে ১০ম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির জোর দাবি জানানো হয়।
দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিলো।সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। আর এই দশ বছরে দ্রব্যমূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা বাজার মুল্য বহন করতে রীতিমত হিমশিম ক্ষেতে হয়। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানন্নোয়নে এবং শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যৌক্তিক এবং যুগোপযোগী দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিকভাবে শিক্ষকদের বিষয় টি দেখার জন্য সু দৃষ্টি কামনা করেছেন গোটা শিক্ষক সমাজ।নাসের বাবুল আরো জানান, স্মারকলিপি প্রদানে ৫ উপজেলা থেকে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে (০৩ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
তিনি উপস্থিত শিক্ষকদের জানান আপনাদের দাবি দাবা সমূহ যৌক্তিক।আমি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিটি পৌঁছানো হবে বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সহ সমন্বয় পরিষদের মোছা:ইয়াসমিন আরা,তেতুঁলিয়া উপজেলা সভাপতি মো: মকবুলার রহমান, আটোয়ারি উপজেলা সভাপতি রেজা আলম মামুন, বোদা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আওলাদ হোসেন বুলবুল, সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল করিম,মো: আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।