কলেজ শিক্ষার্থীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোঃ সাকিব আহম্মেদ র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ ।
গত ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বার বাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৪, তারিখ-৩০/০৯/২০২৪।
উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর অভিযানে শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোর রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মোঃ সাকিব আহম্মেদ (২৪)’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা একজন ব্যবসায়ী। ভিকটিম দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ভিকটিম কলেজে যাওয়া আসার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাকিব ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভিকটিম উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আসামী সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকিসহ অপহরণের ভয় দেখায় এবং ভিকটিমের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ০৯০০ ঘটিকায় ভিকটিম কিছু জিনিস কেনার জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী সাকিব ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসযোগে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বারবাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব হতেই আসামী সাকিব একটি রুম ভাড়া করে রাখে এবং গত ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ঐ ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আসামী সাকিব ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে আত্মগোপনে চলে যায় এবং ভিকটিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাসায় যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।