লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মুহুর্মুহু হামলা চালিয়ে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন প্রধান হচ্ছেন হাশেম সাফিয়েদ্দিন। তবে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে হাশেমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতে হাশেমকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেইদিনের পর থেকে হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আল জাজিরা বলছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে হাশেম সংগঠনের একজন অত্যন্ত উচ্চ পদস্থ সদস্য। এ ছাড়া তিনি নিহত নাসরুল্লাহর মামাতো ভাই।
বৈরুত থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক দোরসা জাব্বারি বলেন, হামলার পর ওই এলাকা থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য লেবানন ও হিজবুল্লাহ কর্মকর্তারা উদ্ধার কর্মীদের অনুমতি দেওয়ার জন্য তৎপর ছিলেন। জাব্বারি বলেন, হাশেম সাফিয়েদ্দিনও হত্যার শিকার হয়েছেন- এমন আশঙ্কার মধ্যে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সফলতা প্রশ্নের মুখে দাঁড়ালো।
এদিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা শনিবার স্কাই নিউজ নেটওয়ার্ককে জানান, দাহিয়ায় বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান ও নাসরুল্লাহর মামাতো ভাই হাশেম সাফিয়েদ্দিন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি সাবাহ বলছে, বৈরুতের শহরতলিতে শুক্রবার ভোরে হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ট আরেকটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপি’কে জানান, হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং তিনি কোথায় আছেন তা আমরা জানিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যেখানে হামলা করা হয়েছে সেই ভূগর্ভস্থ হেডকোয়ার্টারে আমরা পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। তবে প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।