বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃর নাম শাকিল হোসেন (৩০)। তিনি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।
শনিবার রাতে অস্ত্রসহ রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে একটি রিভলভার, একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও ব্যবহৃত রিভলভারের গুলির খোসা, দুটি চাপাতি, দুটি বড় ছোড়া এবং একটি রাম দা উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বরের মিনা বাজারের এলাকায় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়।
হামলায় সাহেদ আলী (২৭) নামের এক ব্যক্তি নিহতসহ অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধসহ গুরুত্বর আহত হয়। সাহেদ নিহতের ঘটনায় তার আপন ভাই শরিফ গত ৩ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।
এছাড়াও গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমন্ডি-১৫ আবাহনী মাঠের বিপরীত পাশে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়। এতে হাসনাইন আহমেদ নিহত হয়। ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
দুই মামলার আসামি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. শাকিল হোসেনকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে রিভলবার, পিস্তল ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল পুলিশকে জানিয়েছে, সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার মিছিলের উপর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় নিরিহ ছাত্র জনতাকে গুলি করেছে।
তিনি আরও জানান, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিষয় তথ্য জানতে গ্রেফতারকৃতকে রিমান্ড আবেদনসহ আদালেত পাঠানো হয়েছে।