তুহিন হোসেন: পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা কমপ্লেক্সে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসা নিতে যান গণমাধ্যমকর্মী সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপী (৩৪)। চিকিৎসার জন্য তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের তিন তলার ৩০৬ নং কেবিনে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম শামীম।
এরপরই ঘটে তার সাথে এক অদ্ভূত ঘটনা। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ্য শরীর নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে যান হ্যাপী। ঘুমানোর সময় তার কাছে ছিল দুইটা স্মার্ট ফোন ও ২৭,৬৩০/- টাকা। পরের দিন শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকায় ঘুম ভেঙ্গে বাড়িতে ফোনে কথা বলে আবার ঘুমিয়ে যাই। পরে ডাক্তার রাউন্ডে আসলে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন এবং ঘুম ভেঙ্গে দেখেন তার কাছে থাকা দুইটা স্মার্ট ফোন ও টাকা কিছুই নাই, বুঝতে আর বাকী রইলো না তার মোবাইলসহ টাকা চুরী হয়ে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি বা চোরদের খুঁজে বের করা হবে বলে কোন আশ্বাস ও দেননি জানান ভূক্তভোগী সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপী।
তিনি আরও জানান হাসপাতাল থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি হয়ে যায় যখন নিরাপত্তার অভাবে, আমি যে এখানে চিকিৎসা নিতে এসে বেঁচে থাকবো এরই বা কি গ্যারান্টি আছে? তাই হাসপাতাল থেকে চলে এসে আমি অন্য জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছি এবং আমি সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে রোগীর দুঃসংবাদের খবরে স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হওয়ার বদলে প্রায়ই কান্নার রোল পড়ে চুরির ঘটনায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, হাসপাতালে চুরির বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। মাঝে মধ্যেই শোনা যায় হাসপাতাল থেকে মোবাইল, টাকা, ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি ও পকেট মার এর ঘটনা। ওয়ার্ডগুলো আমাদের সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকে, কিন্তু কেবিনে সিসি ক্যামেরা নাই তাই চোরকে সনাক্ত করা খুবই কঠিন। মেয়েটি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা নেয়াকালে হয়তো কোন আত্নীয় স্বজন ছিলনা তার পাশে, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় হয়তো চোর সেই সুযোগে তার মোবাইলসহ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। কঠোর নজদারিতে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মোবাইল চুরির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে সুমাইয়া সুলতানা। মোবাইলটি চুরির পর এখনো চালু হয়নি। মোবাইল উদ্ধার বিষয়টি চেষ্টা চলমান।