অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ২৯৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে এসব অস্ত্র হেফাজতে রাখার অভিযোগে ১৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে– রিভলবার ১৭টি, পিস্তল ৭৩টি, রাইফেল ২১টি, শটগান ৩৬টি, পাইপগান ৭টি, শুটারগান ৪০টি, এলজি ২৮টি, বন্দুক ৪১টি, একে৪৭ ১টি, এসএমজি ৫টি, গ্যাসগান ৪টি, এয়ারগান ১০টি, এসবিবিএল ১০টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ২টি এবং থ্রি-কোয়াটার ২টি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে ৯অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব অভিযান হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। উদ্ধার তালিকার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লাইসেন্স স্থগিত করা বৈধ অস্ত্রও।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে এসব অস্ত্র থানায় জমা দিতে বলা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী।