প্রত্যেক বছর ১০ ই অক্টোবর এই দিবস পালন করা হয় আর সাথে একটা প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অগ্রসর হয়।
তেমনি এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- “কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার ” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে, মানসিক স্বাস্থ্য বলতে আবেগিক, মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভালো থাকার অনুভতিকে বুঝায়।
**কখন বুঝবেন আপনি মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন?
১. আপনার দৈনন্দিন দিনের কাজ ঠিকভাবে করতে পারা
২.আপনার পরিপার্শ্বিক সম্পর্ক গুলো ভালো হওয়া
৩.আপনি সমাজে কিছু না কিছু অবদান রাখছেন তা বুজতে পারা।
** কর্মক্ষত্রে কীভাবে মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করবেন
১.সময়ের কাজ সময়ে করা
২.কাজের ফাঁকেফাঁকে বিরতি নেওয়া
৩.স্ট্রেস অনুভব হলে তা কলিগদের সাথে শেয়ার করা, ডিপ ব্রিথিং, মেডিটেশন ইত্যাদি
ব্যায়াম করা যেতে পারে
৪.যেই বিষয় আপনার মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে সেই বিষয়টি এড়িয়ে চলা অন্যথা মানিয়ে নেওয়া
৫.প্রতিযোগিতা মূলক আচরণ পরিহার করে সহযোগীতামূলক আচরন করা
৬. এসারটিভ বিহেভিয়ার করার অনুশীলন করা( যেই আচরনে আপনার কার্য সম্পূর্ণ হবে তবে আপানার পাশের কারো ক্ষতি হবে না)
**কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান এবং নেতার ভূমিকা
১.বৈষম্য পরিহার করা
২.বাচনিক এবং অবাচনিক মুখভঙ্গি ব্যাবহারে সচেতনতা অবলম্বন করা
৩.অনুপ্রেরণামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা
৪. ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করা
৫.সর্বোপরি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা।
এসকল পদক্ষেপ অবলম্বন করে কর্মক্ষেত্রে কর্মীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
“নিজের ভাবনায়, আচরনে ইতিবাচকতা নিয়ে আসি এতে করে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য যেমন ঠিক থাকবে তেমনি আশেপাশের মানুষের মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।”
লেখক : মাহমুদা আলম, কাউন্সেলর, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।