ব্রীজ আছে রাস্তা নেই, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

lalmmonirhat-bridhe-PBA

পিবিএ,লালমনিরহাট: সড়ক আছে, সরকারী ভাবে জনসাধারনের চলাচলের জন্য ব্রীজও নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও গত বছরের বন্যায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল একটি বাঁশের সাঁকো। সেই বাঁশোর সাকো দিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়েছে ব্রীজের সাথে তৈরী করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের চরবৈরাতী এলাকায় নালার উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয় ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরবৈরাতী গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের মাঠ থেকে ফসল আনতে হলে ব্রীজটি ছিল একমাত্র ভরসা। এছাড়া তুষভান্ডার থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের সহজ পথ হিসেবে চরবৈরাতী এলাকার এই ব্রীজটি একমাত্র মাধ্যম। এই বিপুল সংখ্যাক মানুষের জন্য ৯৭-৯৮ অর্থ বছরে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। গত বছরে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে বন্যায় তীব্র পানির স্রোতের কারণে ব্রীজের সংযোগ সড়কটির এক অংশ ভেঙ্গে গিয়ে খালের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারন মানুষ ও যানবাহন চলাচলসহ মাঠ থেকে ফসল আনতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। চলাচলের জন্য স্থানীয় ভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রীজটির এ অবস্থার কারণে চরবৈরাতী গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন নিত্য দিনের হয়ে দাড়িয়েছে।

বৈরাতী এলাকাবাসী জানান, র্দীঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল এই ব্রীজটি। গত বছরর বন্যায় সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে পারি নাই। বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রীজটির সংযোগ সড়কটি সচল করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ব্রীজটি দিয়ে স্কুল,কলেজ সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার যাতায়াতের সহজ পথ হওয়ার কারণে আমাদের জন্য ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন আমাদের নিত্য দিনের হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রীজের সংযোগ সড়কটি যাতে দ্রুত সংস্কার পুর্বক চলাচলের উপযোগী করা হয় তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ বিষয় তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি অবগত আছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।

পিবিএ/এএইচআর/এফএস

আরও পড়ুন...