বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন

দোকান কর্মচারী হত্যা, আরও দুই আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার মুদি দোকান কর্মচারী মো. মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির খিলগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন, মৎসজীবী লীগের সভাপতি ও যুবলীগের সদস্য আব্দুর রহমান এবং বাংলাদেশ সড়ক পবিরহন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার মুদি দোকান কর্মচারী মো. মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় তার বাবা কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মিজান গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে দোকান খোলার জন্য বাসা থেকে বের হন। এ সময় বনশ্রী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গোলাগুলি চলছিল।

মিজান খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় পৌঁছালে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে গুলিবিদ্ধ মিজানকে নিকটস্থ অ্যাডভান্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় তাকে দ্রুত আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিজানুর রহমান হত্যায় জড়িত আব্দুর রহমান ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

গত ৩ অক্টোবর খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান হত্যায় জড়িত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. ওবায়দুল ইসলাম রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন...