অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। তারপরেও জনগণের ন্যায্য পাওনা ভোটাধিকার কবে দেবেন, এটা বলতে দ্বিধা কেন? কী কারণে নির্বাচন কমিশন এখনও বহাল তবিয়তে বসে আছে, কী নির্বাচনী সংস্কার করবেন, কাকে নিয়ে সংস্কার করবেন? সংস্কার করতে হলে আপনাকে (ড. ইউনূস) রাজনীতিবিদদের পরামর্শ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের শহীদ নাসিরউদ্দিন আহামেদ পিন্টু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জানা- অজানা হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে শুধুমাত্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। অন্যকিছুর জন্য বসানো হয়নি। নির্বাচনটা সঠিকভাবে হওয়ার দিকে নজর দেন। সে নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়। অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলেও সমস্যা কোথায়। আপনাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে শেখ হাসিনার পরিত্যক্ত সব আমলা ও প্রেতাত্মারা। তারা দেশ চালাচ্ছে আর আপনারা সংস্কারের গল্প শুনিয়ে শুনিয়ে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিকে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের পরিষ্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে দেরি হলে জনগণ আবার রাজপথে নামতে দ্বিধা করবে না। নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সংস্কারের নামে সবাইকে খুশি করতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে গণতন্ত্র হত্যা না করার আহ্বানও জানান গয়েশ্বর।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জাতির জন্য নাসির উদ্দিন পিন্টু নিজের জীবন দিয়েছেন। তিনি অনেক সাহসী ছিলেন। পরিকল্পিতভাবে পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য পিন্টু জীবন দিয়েছেন। বিডিআর হত্যাকাণ্ড হলো একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হচ্ছে শেখ হাসিনা। আমরা পিন্টু হত্যার বিচার চাই।