ফুলবাড়ীতে বিএনপির বর্ধিত সভায় দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

প্লাবন শুভ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা শাখা বিএনপির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দলের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর সংলগ্ন রাবিয়া কমিউনিটি সেন্টারে বর্ধিত সভাস্থলে এ ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে দুই পক্ষের নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেনা বাহিনীর একটি টহল দল।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভাকে ঘিরে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, শহরের নিমতলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হোন নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, উপজেলা বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে একটিতে নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজুল ইসলাম।

সকাল সাড়ে দশটায় মতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা নিমতলা মোড় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে বর্ধিত সভাস্থলে আসেন। এর আগ থেকেই উপজেলা পরিষদ রোড থেকে কালীবাড়ী বাজারে নানান স্লোগানে মিছিলসহ অবস্থান করছিলেন শাহাজুল ইসলামের সমর্থকরা। এসময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকলে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির শুরু, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এজেডএম রেজওয়ানুল হক, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান বাদশা প্রমুখ।

দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেক কষ্ট ও ক্ষোভ জমা রয়েছে। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে একটু আধটু হই-হুল্লোড় হয়েছে। তবে কোন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সভা পরিচালনা করছি।

উল্লেখ থাকে যে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি খুরশিদ আলম মতিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। খুরশিদ আলম ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন। তখন বিএনপির একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খুরশিদ আলম মতিকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে উপজেলা বিএনপি দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছিল।

আরও পড়ুন...