খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ-সম্মারকলিপি

ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ না করার দাবি

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতায়তায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি চেয়ারম্যান মেম্বারদের বহাল রাখতে দাবি গড়িয়েছে রাজপথে।

রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শাপলা চত্বরে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার এই আয়োজন করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ না করার জোরালো দাবি জানান নেতৃবৃন্দরা।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কাছে স্মারকলিপি দেয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। পানছড়ি চেঙ্গি ইউপি চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমার সঞ্চালনায় এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন,এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুজন চাকমা,কমলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুনীল চাকমা,মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউপি সদস্য বাবুল,লক্ষ্মীছড়ি ইউপি সদস্য মেরিনা চাকমা।

বক্তারা বলেন,গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সেবা প্রদানকারী বাংলাদেশের ৪৫৮০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন “বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এযাবৎ কাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগনের সর্ববৃহৎ সংগঠন হিসাবে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নসহ শক্তিশালী করণে নানা বিষয়ে কাজ করাসহ সরকারের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করে আসছে।

এতে বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী কাঠামো। সাধারন জনগনের আশা ও ভরসার আশ্রয়স্থলটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল জনগণকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে।

সর্বজন স্বীকৃত একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক দলের প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করিয়ে প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছেন। এ কাঠামো ভেঙ্গে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার যে রুপরেখা দাড় করিয়েছেন বাংলার মানুষের আশা ভরসার আশ্রয় স্থলে কুঠারাঘাত করেছেন।

তাই কাঠামো ভেঙ্গে আমলাতান্ত্রিক উপায়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করলে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ আশাহত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যান এর স্থলে আমলাতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হলে তা গ্রহনযোগ্য হবে না।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যানগণ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ বলে উল্লেখ করে বক্তারা সকল ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তাদের।

আরও পড়ুন...