৬ দিন পর ড. সামাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

পিবিএ, কুড়িগ্রাম: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুর হাইল্ল্যা গ্রামের বাসিন্দা কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ নিহতের ৬দিন পর গোসল ও কাফন পড়ানোর জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সময় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে নিউজিল্যান্ডের পুলিশি নিরাপত্তায় ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ গোসল ও কাফন পড়ানোর জন্য ২ ঘন্টা সময়ের জন্য দেয়া হলে ড.সামাদের ছেলে তারেক তার বাবার লাশের গোসল করান।

ড.সামাদের বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার তোহা মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার পিতা নিহত হওয়ার ৬ দিন পর কর্তৃপক্ষ অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাত ৩ টার দিকে গোসল ও কাফন পড়ানোর জন্য পরিবারের সদস্যের কাছে দেয়া হয়েছে।
২ ঘন্টার জন্য লাশটি দেয়া হলে আমার ছোটভাই তারেক পিতার লাশের গোসল সম্পন্ন করে। পরে কাফন পড়ানোর পর লাশটি আবারও পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। কারণ- শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর প্রায় ৪০টির মতো লাশের এক সঙ্গে এস্তেমায়ী জানাযা সম্পন্ন করা হবে। নিউজিল্যান্ডের সময় সকাল ৭ টা বাংলাদেশি সময় সময় দুপুর ২টায় এই জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
ড. সামাদের দেশের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্ল্যা গ্রামে তার মরদেহ আনার জন্য তার ভাই ভাতিজা ও স্বজনরা দাবি জানালেও তা হচ্ছেনা। নিউজিল্যান্ডেই জানাযা শেষে ড. সামাদের ইচ্ছানুযায়ী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের মুসলীম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

তোহা মোহাম্মদ আরও বলেন, আমার পিতা মরহুম ড. আব্দুস সামাদ তার জীবদ্দশায় বলেছেন- আমার মৃত্যু হলে লাশ নিয়ে টানা হেঁচড়া না করে আমার কর্মস্থল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরেই মুসলীম কবরস্থানে যেন দাফন করা হয়। এ কারণে পিতার ইচ্ছানুযায়ী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের মুসলীম কবরস্থানে তাকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তিনি শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের উদ্দ্যেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন বলেও জানান।

পিবিএ/ইএই/হক

আরও পড়ুন...