জাতীয় পার্টিকে এখন ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে তার দেয়া বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতি যেগুলো বিভিন্ন মিডিয়ার এসেছিল সেগুলো তুলে ধরেন এবং ছাত্র আন্দোলনে পার্টির নেতাকর্মীদের ভূমিকা ও দুইজন কর্মী নিহত হওয়াসহ তথ্য তুলে ধরেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বন্ধুকে শত্রু বানানোর চেষ্টা করছে। এভাবে বন্ধুকে শত্রু বানানো ভালো ফল আশা করা কঠিন। কোন জটিল পরিস্থিতি হলে তখন তারা বন্ধুহীন হয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি বলে দোসর বলা হয়, কোন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছিল তারও বর্ণনা দেন। মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। তারপরও বাধ্য করা হয় নির্বাচনে যেতে। ২০১৮ সালে সকলেই অংশ নেন। বৈধতার প্রশ্ন উঠলে বিএনপিও দিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখনই তারা ব্যর্থ কিংবা অসফল বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের সময় দিতে চাই, আমরা আশাকরি সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, কোন দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না। জামাত নিষিদ্ধের সময় আমি এর বিপক্ষে মত দিয়েছিলাম। আমি মনে করি যাদের ফলোয়ার রয়েছে, তাদের যদি নিষিদ্ধ করেন তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে। এটা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর শিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।